Detailed Notes on আলু চাষের পদ্ধতি, NB Article, আলুর উৎপত্তি ও ইতিহাস এবং চাষের পদ্ধতি,স্বর্ণের ইতিহাস,ব্লগ,

ফ্রিজারে আলু পরিবহনের জন্য কোন শিপিং খরচ নেই।

ব্যবস্থাপনা: রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করা, মাটি শোধন, ফসল পর্যায়।

• ক্রমে দাগ বড় হয় ও সমগ্র পাতা, ডগা ও কাণ্ডের কিছু অংশ ঘিরে ফেলে৷

(অম্লীয় বেলে মাটির জন্য) ৮০ – ১০০ কেজি ৩০০ -৪০০ গ্রাম

মৌসুমে মাঝারি বৃষ্টিপাত ৩০ ইঞ্চি অর্থাৎ ৭৬২ মিলিমিটার আলুর জন্য উপযোগী৷ অধিক বৃষ্টিপাতে আলু মোটেই ভালো হয় না; গাছের বৃদ্ধি থেমে যায়৷ রোগ ও কীটপতঙ্গের আক্রমণ সহজতর হয়৷ তবে পার্বত্য এলাকায় (১৮৬০-২১৭০ মিলিমিটার) অধিক বৃষ্টিপাত হলেও পানি দ্রুত সরে যায় ও ঠাণ্ডা পরিবেশ বিরাজমান থাকে বলে সেরূপ পরিবেশে আলুর চাষ করা যায়৷ তাই পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় এইরূপ পরিবেশে গ্রীষ্মকালে আলু জন্মানো যায়৷

পরে অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে উত্তর ভারত ও বাংলায় ব্রিটিশরা আলুর প্রচলন করেন।

আলু চাষে কম্পোস্ট সার ব্যবহার না করা ভালো। কারণ যেসব কম্পোস্টের উপাদান হিসেবে শাকসবজির উচ্ছিষ্টাংশ বা গাছ-গাছড়ার বা যেকোনো জৈব জিনিসের পচনশীল অংশ ব্যবহার করা হয় সেসবের সাথে ঢলে পড়া রোগের রোগজীবাণু থাকতে পারে, যা এই রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এ জন্য কম্পোস্টের পরিবর্তে ভালোভাবে পচানো শুকনো গোবর সারই জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় বায়োগ্যাস প্লান্ট থেকে সংগ্রহ করা শুকনো সার।

ব্যবস্থাপনা: আলু ভালভাবে বাছাই করে সংরক্ষণ করতে হবে। যথাযথ কিউরিং করে আলু গুদামজাত করতে হবে। ডাইথেন এম ৪৫ দ্রবণ (০.২%) দ্বারা বীজ আলু শোধন করতে হবে। বস্তা, ঝুড়ি ও গুদামজাত আলু ৫% ফরমালিন দিয়ে শোধন করতে হবে। প্রতি কেজিতে ২ গ্রাম হিসেবে টেকটো ২% গুড়া দিয়ে আলু শোধন করা দরকার।

শুষ্ক, উজ্জ্বল ও ভালো আবহাওয়ায় আলু তুলতে হবে। বেলচা বা লাঙ্গল দিয়ে সারি সারি আলু তুলতে হবে। আলু যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আলু তোলার পর প্রখর রোদে সংরক্ষণ করা উচিত নয়। ক্ষেতে প্রাক-বাছাই করা হয়েছে কাটা, ফাটা, ক্ষতিগ্রস্ত, আংশিক পচা আলুকে প্রত্যাখ্যান হিসাবে আলাদা করার জন্য - যাতে ভাল আলুর স্তূপের সাথে মিশ্রিত করা না যায়। তুষ দিয়ে ঢেকে থাকা ব্যাগ বা ঝুড়িতে আলু সাবধানে ইম্প্রোভাইজড সেডে নিয়ে যেতে হবে।আলুর ব্যাগ বা ঝুড়ি আশেপাশে ফেলে দেওয়া উচিত নয় কারণ এতে আলু চর্মরোগ বা ঘামাচি হয়ে যেতে পারে।

বীজআলু কোল্ড স্টোরেজ থেকে বের করার পর ৪৮ ঘণ্টা প্রি হিটিং কক্ষে রাখা হয়, বীজআলু এনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বস্তা খুলে ছড়িয়ে আবহাওয়ার here সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য স্বাভাবিক বাতাস চলাচল করে এমন ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। এমনটা করার কারণ বীজ কোল্ড স্টোরেজ থেকে বের করে বস্তা বন্ধ অবস্থায় রাখলে ঘেমে পচে যেতে পারে।

ছায়াময়,শীতল এবং ভাল বায়ুচলাচল এলাকায় আলু চাষের ক্ষেতের কাছে অস্থায়ী শেড তৈরি করতে হবে। শুধুমাত্র ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করা প্রথম আলু আস্তাবলের মেঝেতে বিছিয়ে দিতে হবে। আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আলুর স্তুপ ৪৫ সেন্টিমিটারের বেশি নয়। এই অবস্থায়, নিরাময় কমপক্ষে ৩-৫ দিন সময় নেওয়া উচিত।ভালো আবহাওয়া সহ শুষ্ক, উজ্জ্বল দিনে আলু কাটা উচিত। কোদাল বা বেলচা ব্যবহার করে সারি সারি আলু চাষ করা হয়। খেয়াল রাখতে হবে যেন আলু নষ্ট না হয়। আলু তোলার পর কড়া রোদে আলু রাখবেন না।

২৷ যথাযথ কিউরিং করে আলু গুদামজাত করতে হবে৷

লক্ষণ: গাছের একটি শাখা বা এক অংশ ঢলে পড়তে পারে৷

খাদ্য ইতিহাসবিদ চিত্রিতা ব্যানার্জির নিবন্ধ থেকে জানা যায়, আলুকে বাংলায় আরও বেশি প্রসিদ্ধ করেছিলেন আওধের নবাব ওয়াজেদ আলী শাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *